গল্পের নায়ক আলপথ ধরে নেমে এল গল্প থেকে, হাতে তার টইটই সুরে ভাসা কৌমের বাঁশি, কোমরবন্ধে জড়িয়ে সে প্রাকৃত ঘোর, চষে গেল কদিনেই শহরের বড় রাস্তারাজি
বাঁশি বাজল না
অন্ধকারে কজন লোক তাকে ডাকল মৌনস্বরে, কান নয়, হৃদয়তন্ত্রীতে সে স্বর যখন বাজাল স্যোনাটা, থমকাল সে অভ্যস্ত নয় বলে এমনতর ডাকে, সংশয়ে অতঃপর তাকাল দিগ্বিদিক, তবু আরেকটু কাল খুইয়ে সত্যটা বের করে নিতে সায় পেল না নিজের থেকেই, বলল না তবু, কথাটা সে বলল না আকাশ কিংবা বক্ষোপরে জ্বলে ওঠা বিশাখা তারাকে
বাঁশি বাজল না
সে বললে পারত যে আমি আমাকেই খুঁজি, অথবা তোমাকে, যেজন লুকিয়ে আছে আমারই ভিতরে, আর সেটা হতে পারত অনেকার্থকতাময় ক্রিয়াভিত্তি করে
বাঁশি বাজল না তবু
একরাতে, যে ক্ষণে সে হাতে এনে ধরেছিল মনে রাখা ছবি, ঢল নেমে সেটা যেভাবে ভিজিয়েছিল জোছনা-বৃষ্টিরা, সুরঘন সেই রাত ফিরে কি আর এল, বরং সুরালোয় স্নানপাট মহার্ঘ্য লাগে বলে গোপনতন্ত্রীতে তার গ্রামদেশ বড়োসড়ো টোকা দিয়ে গেল
যেকোনো শব্দেরই ভিন্ন অনূদিত অর্থ থাকে, যেকোনো ঘটনার, যেকোনো তাকানো বা সহসা ছোঁয়ার, এহেন ভিন্নার্থ তাকে উস্কানি দিল পেছনে ফেরার, কঠিন বাস্তবে দাঁড়িয়ে যদিও সতত মনে হয়, চর্চিত ভাষার চেয়ে বক্তব্যের সাথে গাঁটছড়া বেশি থাকে আনাড়ি কল্পনার
গল্পের নায়ক অবশেষে গাঁয়ে ফিরে বিশাল এক প্রান্তর বাজিয়ে গেল গাছপালাসহ, বিরাজিত মাটিজলময়
Saturday 16 February 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment